গত মাসের শেষে আন্তর্জাতিক ফুটবলের কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা (Diego Maradona) চিরবিদায় নিয়েছেন। ২৫ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছে ফুটবলের এই রাজপুত্তুরের। মারাদোনার মৃত্যুতে সারা পৃথিবী শোকাহত। আন্তর্জাতিক ফুটবল জগতের এই মারাত্মক ক্ষতি মেনে নিতে পারেননি কেউই। তবে মারাদোনার মৃত্যুর পর মারাদোনার জীবনকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ১৯ বছর বয়সী মারাদোনার এক অবৈধ সন্তান (Maradona’s ‘illegitimate’ child) এসে দাবি করছে মারাদোনার সম্পত্তির ভাগ।
মৃত্যুর আগে মারাদোনার সংগ্রহীত সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৯০ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় হিসাব অনুযায়ী যার মান ৬৬৫ কোটি টাকা। মৃত্যুর আগে যথেচ্ছ জীবন যাপন করেও জীবনের শেষ কালে মৃত্যুর আগে এত কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন মারাদোনা। এই সম্পত্তির বর্তমান মালিক মারাদোনার দুই মেয়ে দলমা ও গিয়ানিয়ার। একমাত্র এই দুজন সন্তানকেই মারাদোনা বৈধ বলে মেনে এসেছেন এতোকাল। দুই মেয়ের পাশাপাশি মারাদোনার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক তাঁর প্রথম স্ত্রী ক্লদিয়া।
জীবন দশায় মারাদোনা যথেচ্ছভাবে নিজের জীবন যাপন করে এসেছেন। যে জীবনে কোনরকম ডিসিপ্লিন ছিল না সেই রকম জীবনযাপন মারাদোনাকে বহু বিতর্কের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছিল। একাধিক মহিলা সঙ্গী, তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, একাধিক অবৈধ সন্তান এবং ড্রাগ নেওয়ার মতো একাধিক অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন মারাদোনা। সেই নিয়ে একের পর এক বহু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাঁকে ঘিরে। এমনকি মৃত্যুর পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি মারাদোনার। মারাদোনার মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই বছর উনিশের একটি ছেলে এসে দাবি করে সে মারাদোনার অবৈধ সন্তান। শুধু তাই নয় সেই যুবক মারাদোনার সম্পত্তির ভাগও দাবি করেছে। সেই যুবক এও বলেছে কবর খুঁড়ে মারাদোনার মৃতদেহ বার করে ডিএনএ টেস্ট করা হোক তাহলে প্রমাণিত হবে সে মারাদোনারই সন্তান।
গত ২৫ নভেম্বর মারাদোনার মৃত্যুর পর মারাদোনার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয় ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এই কিংবদন্তির। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০। যদিও মারাদোনার স্ত্রী ক্লদিয়া এবং দুই মেয়ে দলমা ও গিয়ানিয়ার এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে মারাদোনার। মৃত্যুর কিছুদিন আগেই মাথায় অস্ত্রপচার হয়েছিল ফুটবলারের। তার মাত্র কিছুদিনের মধ্যেই ঘুমের মধ্যে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। অস্ত্রোপচারের ৮ দিনের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল তাঁকে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মারাদোনার পরিবারের লোকজন।