শিখ ব্যক্তির পাগড়ি খুলে নেওয়ায় ক্ষুব্দ হরভজন সিং, টুইট করলেন মমতাকে
বিজেপির মিছিলে নিগৃহীত হয়েছিলেন বলবিন্দর সিং। এই ব্যক্তি একজন দেহরক্ষী। বিজেপির মিছিলে এসে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ধস্তাধস্তিতে খুলে যায় ঐ শিখ ব্যক্তির পাগড়ি। মিছিলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করতে উদ্যত হয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আর সেই সময়ই ধস্তাধস্তিতে খুলে পড়ে ওই শিখ ব্যক্তির পাগড়ি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ দ্বারা বল্বিন্দার সিং কে হেনস্তার চিত্র ফুটে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই সময় তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বল্বিন্দার সিংয়ের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। মারধর করে তাকে। পাগড়ি ও খুলে নেওয়া হয়। এরপর তাকে চুল ধরে টেনে নিয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। বল্বিন্দার সিং যেহেতু একজন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই তাঁর কাছে পাগড়িই তাঁর সম্মান। এবং একজন শিখ এর কাছে তার পাগড়ির অপমান মানে তা সম্পূর্ণ শিখ সম্প্রদায়ের অপমান, সমগ্র ধর্মের প্রতি অবমাননা। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিও টি দেখে ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন খেলোয়াড় হরভজন সিং(Harbhajan Singh) পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে টুইট করেন। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন হারভজন। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচার চেয়েছেন তিনি।
😡😡😡😡🤬 https://t.co/gLwxZviwRC
— Harbhajan Turbanator (@harbhajan_singh) October 9, 2020
এছাড়াও বিজেপি নেতা তেজিন্দর সিং বজ্ঞা এ বিষয়ে ক্ষুব্দ হয়ে অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন,মমতার পুলিশ শিখ ধর্মের অপমান করেছে। ওই বিজেপি নেতা টুইট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেন, এই ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৮৪ এর শিখ বিরোধী দাঙ্গার কথা। মমতার পুলিশ একজন শিখ ভাইয়ের পাগড়ি খুলে তার কেশের অপমান করেছে। এদেশের স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি আত্মবলিদান দিয়েছিলেন শিখ রাই। আর আজ শিখদের ওপর এ ধরনের অত্যাচার যারা করছে, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই।
ধর্ম নিয়ে, পৃথিবী ব্যাপী ধর্মীয় স্বাধীনতা, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে নানা রকম ভালো ভালো কথা বলতে শোনা যায় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়ায়, সংখ্যালঘু মুসলিম দের পাশে দাঁড়ায়, সেই সরকারের একজন শিখ সম্প্রদায়ের ব্যক্তির প্রতি এহেন আচরণ সত্যিই অমানবিক, এমনটাই দাবি তুলে সোচ্চার হয়েছে বিরোধী পক্ষ। তবে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ বার বার বলেছে ইচ্ছাকৃতভাবে তারা কিছু করেনি। পুলিশি ধস্তাধস্তিতে এরকম ঘটনা ঘটেছে। কারোর ধর্ম ভাবাবেগে আঘাত করা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল না।ওই ব্যক্তি মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
ममता सरकार द्वारा जिस तरीके से एक सिख सुरक्षाकर्मी की पगड़ी को उतार कर केशों का अपमान किया गया ये देख 84 नरसंहार के दृश्य सामने आ गए।इस देश की आजादी में सबसे ज्यादा बलिदान देने सिख कौम के साथ व्यवहार करने वाली सरकार को 1 मिनट भी सत्ता में रहने का अधिकार नही है। pic.twitter.com/joR8tURpYE
— Tajinder Pal Singh Bagga (@TajinderBagga) October 9, 2020
