সামরিক সরাঞ্জাম রপ্তানিতে আরো এক কদম এগোলো ভারত। আমেরিকার (America) প্রয়োজনে ভারতের তৈরি নৌসেনার লড়াকু যুদ্ধবিমান ভারত তুলে দিতে চলেছে আমেরিকার হাতে। তেজাস MK1 আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতের তরফ থেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের যে আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন সুরক্ষা ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে তা পূরণের পথে এগোচ্ছে ভারত। India will export domestic warplanes to America.
আমেরিকার একটি ট্রেনিং পিরিওডে বেশ কিছু যুদ্ধবিমান প্রয়োজন ছিল। আন্ডার গ্র্যাজুয়েট জেট ট্রেনিং সিস্টেমের জন্য নৌসেনার বেশ কিছু শক্তপোক্ত বিমান প্রয়োজন ছিল আমেরিকার। ভারতের তৈরি লড়াকু নৌসেনার বিমান দেখে ভারতের তৈরি সেই বিমান নিজের ট্রেনিং সিস্টেমের অধীনে তা ব্যবহার করতে চেয়ে ভারতের কাছে সাহায্য চেয়েছে আমেরিকা। ভারত এক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিনা কোন দ্বিধায়। ভারতের তরফ থেকে আমেরিকাকে অফার করা হয়েছে তেজাস MK1 বিমান।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে যে সমস্ত দেশ পড়ে তার মধ্যে ভারত উল্লেখযোগ্য। সাধারণত পিছিয়ে পড়া দেশগুলির মধ্যে ধরা হয় এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে যে বিভাজন সৃষ্টি হয় তার থেকেই জন্ম নিয়েছিল এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলি। প্রথম প্রথম সবকিছুর জন্যই এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিকে ভরসা করতে হত প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বিশ্বের দেশ গুলির উপর। কিন্তু ধীরে ধীরে নিজেদের উন্নতিকরণের মাধ্যমে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলি নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণের লড়াইয়ে একেবারে প্রথম সারির দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে নিত্যদিন। সেই সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখ জনক নাম হল ভারতের। তৃতীয় বিশ্বের দেশ হলেও যেভাবে ভারত এগিয়ে এসেছে প্রথম সারিতে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
মূলত যুদ্ধ সামগ্রীর জন্য তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলিকে নির্ভর করতে হতো প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বের দেশ গুলির উপরে। ধীরে ধীরে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে উন্নত হতে থাকলে নিজেই বানাতে শুরু করে নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র। ভারত যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণে উল্লেখযোগ্য ছাপ ফেলেছে। ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ যে এভাবে যুদ্ধবিমান তৈরি করে সারা পৃথিবীর সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি পৃথিবীর উন্নত দেশগুলি। আর তাই ভারতের তৈরি তেজাস বিমান আজ পৃথিবীর তথাকথিত প্রথম সারির উন্নত দেশগুলির অন্যতম চাহিদার বিষয়।