বিহারে কিশোরীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হলেন কঙ্গনা
বিহারে ইভটিজিংয়ের (Eve-Teasing) প্রতিবাদে গায়ে কেরোসিন ঢেলে চালিয়ে দেওয়া হল এক কিশোরীকে। বিহারের (Bihar) রসুলপুরের হাবিব গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদ করেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ঘটনার প্রতিবাদ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন বলিউড কুইন।

বিহারের রসুলপুরের বাসিন্দা কিশোরী গুলনাজ খাতুন। ঘটনার দিন ওই গ্রামের ই অন্য এক মেয়েকে কয়েকটি ছেলে মিলে অনেকক্ষণ ধরে উত্ত্যক্ত করছিল। আশেপাশের পথ চলতি কিছু মানুষ তা দেখলেও খুব একটা গা করেন নি। এড়িয়ে গিয়েছিলেন, কেউ বা তাকিয়েও তাকাতে চাননি। এই ঘটনাটি ঘটেছিল গুলনাজ খাতুন এর সামনেই। নিজে একজন মেয়ে হয়ে গুলনাজ সেই মেয়ের বিপদে ঝাঁপাতে একবারও পিছপা হয়নি। প্রতিবাদ করতে এগিয়ে গিয়েছিল গুলনাজ। সেই থেকে ঘটনার সূত্রপাত।
Our daughters are not safe,everyday there are bigger and even more heinous crimes against them unfold. Dear liberals I’ve a request don’t look at victims or criminals through your secular lens. At least don’t divide them,Let’s fight against injustice together #गुलनाज_को_न्याय_दो
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 17, 2020
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করার গুলনাজ কে ওই ছেলেগুলি পরে দেখে নেবে বলে শাসিয়ে যায় ঘটনার দিন। তারপর থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। হঠাৎই একদিন খুলনা যে শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। এরপর ওই কেরোসিনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। খুব শীঘ্রই কেরোসিনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং গুলনাজের শরীরে আগুন ধরে যায়। অনেক চেষ্টা করেও আশেপাশের মানুষজন আগুন নিভাতে পারে না। শেষমেষ যখন আগুন নেভানো হয় তখন গুলনাজ অর্ধমৃত। সেই অবস্থাতেই নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দেহের প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায় গুলনাজের। এই অবস্থায় ওই কিশোরী হাসপাতালে লড়াই চালায় ৩০ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। শেষমেষ ১৭ নভেম্বর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে গুলনাজ।
এ ঘটনার পর বিহার জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ, বিরোধ। গুলনাজ কো ন্যায় দো বলে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয় ক্যাম্পেইন। এ ঘটনায় সরব হয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কঙ্গনা বলেছেন ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নারীদের সাথে হয়ে ওঠা অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে লড়াই করতে হবে। এই অপরাধ দমন করতে সমাজের প্রতিটি শ্রেণীর প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, বলেছেন কঙ্গনা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনার এই পোস্ট দেখে নিন্দুকেরা কেউ কেউ বলেছেন কঙ্গনা খালি প্রচারের আলোয় থাকতে চায়। সে কারণে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু সংক্রান্ত কোন কথা হোক অথবা অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে ওঠা অশ্লীলতার অভিযোগ কিংবা কৃষি বিল নিয়ে হওয়া বিক্ষোভ সবেতেই তাকে কথা বলতে হবে অবশ্য এ বিষয়ে কঙ্গনা কোন উত্তর দেননি।