ট্রোলিং নিয়ে ক্ষুব্ধ করিনা, রাগ গিয়ে পড়ল নেটিজেনদের ওপর
দর্শকদের করার ট্রোলিং (trolling) নিয়ে এবার রাগ করে বসলেন কারিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)। ট্রোলিং-এর বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন বেবো। রীতিমতো কড়া ভাষায় কথা শোনালেন নেটিজেনদের। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ায় মানুষজন কোন কাজ না পেয়ে ট্রোলিং করতে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা। নিজেদের জীবনকে উত্তেজক করে তুলছে, নেটিজেনদের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ কারিনা কাপুর খানের।

অন্যান্য সেলিব্রেটিদের মত কারিনা কাপুর খানকে ও বহুবার দর্শকদের ট্রোলিং এর পড়তে হয়েছে। তাই এবার আর চুপ করে থাকলেন না বেবো। কারিনা বলেছেন ‘লকডাউনে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। হাতে কোন কাজ নেই তাই বাড়ি বসে বোর হচ্ছেন। তাই সেলিব্রেটিদের ট্রোল এবং সমালোচনা করে সময় কাটছে তাদের। আছে কোন কাজ না থাকায় এভাবেই তারা নিজেদের জীবনকে উত্তেজক করে তুলছেন।’
বলিউডে (bollywood) এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হলো নেপোটিজম (nepotism) বা স্বজনপোষণ। কারিনা কাপুর এই বিষয়েও মন্তব্য করতে ছাড়লেন না। কারিনা এদিন বলেন তিনি নিজে একজন বলিউড অভিনেতার সন্তান। আজ যদি কেবলমাত্র তারকার সন্তান হওয়ার কারণে বলিউড তাকে চিনত তাহলে এতগুলো বছর ধরে মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে পারতেন না তিনি। কারণ স্বজনপোষণ থাকলে ছবি হয়তো পাওয়া যায় কিন্তু সেই ছবিতে ভালো অভিনয় যদি তিনি করতে না পারতেন তাহলে দর্শক তাঁকে পছন্দ করতেন না। আজ ২১ বছর ধরে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে রয়েছেন করিনা। নিশ্চয়ই তাঁর অভিনয় ক্ষমতা রয়েছে তবেই না। শেষ পর্যন্ত দর্শকরাই অভিনেতাদের বলিউডে টিকে থাকার টিকিট দিয়ে থাকেন। স্বজনপোষণ নয় বরং দর্শকদের ভালোবাসা একজন অভিনেতাকে এই জায়গা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কারিনা এও বলেছেন দর্শকরাই ভালোবাসা দিয়ে অভিনেতাদের স্টার বানান আবার দর্শকরাই তাদের ট্রোলিং করেন। পছন্দ যদি না হয় ইচ্ছে যদি না করে তাহলে সিনেমা হলে যাওয়ার কি দরকার কেউ তো জোর করেনি, এমনটাই দাবি ক্ষুব্ধ কারিনা কাপুর খান এর। করিনা এদিন অন্যের ব্যাপারে নাক না গলিয়ে নিজের জায়গায় থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন নেটিজেনদের। বেবো আরো বলেছেন নেগেটিভ এনার্জি না ছড়িয়ে পজিটিভিটি বাড়ানোর চেষ্টা করার কথা। তবে শেষে করিনা এও বলেছেন যে এই বিষয়টাই অপ্রাসঙ্গিক তাই তিনি এই বিষয়ে আর কোনো আলোচনা করতেই চাননা।