‘এক দেশ, এক নির্বাচন” প্রয়োজন, সংবিধান দিবসে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
সংবিধান দিবসে দেশের মানুষের উদ্দেশ্যে একরাশ তথ্য প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেবড়িয়ায় একটি অনুষ্ঠানে সংবিধান দিবসে বক্তৃতা দিতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদি জি কে। এই বক্তৃতায় আরো অন্যান্য তথ্য প্রদানের পাশাপাশি ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের তাজ হোটেলে (Taj Hotel) হওয়া জঙ্গি আক্রমণে নিহতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী।

২৬/১১ এর ঘটনাকে উল্লেখ করে মোদীজি এদিন জনসভায় বলেন ২০০৮ সালে যেসব পাকিস্তানি জঙ্গিরা (Pakistani Terrorist) ভারতে ঢুকে এই বিধ্বংসী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল সেই ক্ষত কোনদিনই ভোলার নয়। সেই মারাত্মক জঙ্গী আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় কয়েকশো মানুষ। এই সন্ত্রাসবাদীর উদ্দেশ্যে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই দিন বলেন সন্ত্রাসবাদ কে জয় করতে হবে। কমাতে হবে সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপ। আর তাই ভারতকে মুখোমুখি হতে হবে সন্ত্রাসবাদ এর সঙ্গে। সন্ত্রাসবাদ এর সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতে আসতে চলেছে নতুন নীতি।
পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদি কেবড়িয়ার এই অনুষ্ঠানে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ( One Nation, One Election ) এর কথা আরো একবার মনে করিয়ে দেন। মোদি জি এইদিন সভায় বলেন সারা দেশ জুড়ে এই যে এতবার খুচরো খুচরো ভোট হয় তার বদলে সারা দেশে একটি মাত্র ভোট হওয়া উচিত। এটা নিয়ে এবার সত্যিই ভাবনা চিন্তার দরকার। তাই এক দেশ এক নির্বাচন হওয়া খুব দরকার। দেশ যেভাবে এখন ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে চলেছে তাতে করে কাগজের ব্যবহার উঠে যাওয়া উচিত। ৭৫ বছরের স্বাধীনতার উষালগ্নে এসে এই বিষয় নিয়ে এবার ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
পাশাপাশি বিধানসভায় আলোচনার সময় সাধারণ মানুষের ইনভল্ভমেন্ট কি করে বাড়ানো যায় সেই নিয়েও ভাবনা চিন্তা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নিজের সংবিধান কে বোঝার আর্জি জানিয়েছেন জনগণের উদ্দেশ্যে। KYC এর উল্লেখ করে মোদীজি বলেছেন Know Your Constitution।
মোদীজি এদিন বলেন এবারে অন্য বারের তুলনায় সংসদে কাজ হয়েছে অনেক বেশি। মানুষের সংবিধানের প্রতি বিশ্বাস বেড়েছে আগের তুলনায়। বারবার দেশে প্রমাণিত হয়েছে সংবিধানের শক্তি। করোনার আবহেও দেশে বারবার নির্বাচন হয়েছে, গঠিত হয়েছে সরকারও।
জরুরি অবস্থার সময়ের উল্লেখ করে মোদীজি এই দিন বলেন সেই সময় সংবিধানের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু দিনে দিনে সংবিধান আরও মজবুত হয়েছে।