”একটা কিশোর কুমারের গান গাও প্লিজ”, বীরুকে প্রস্তাব পাক ক্রিকেটারের
শুধুই ক্রিকেট নয় সঙ্গীতজগতও তাঁর ভালোবাসার জোন। ওপেনার হিসেবে বেশিরভাগ সময়ই ভারতীয় ক্রিকেট (Cricket) দলের হয়ে মাঠে নামতে দেখা যেত বীরেন্দ্র সহবাগ (Virender Sehwag) কে। তবে ক্রিকেট ছাড়াও গান গেয়ে দ্বিপক্ষীয় খেলোয়াড়দের মন জয় করতে বীরু, সম্প্রতি এমন কথা নিজেই জানিয়েছেন প্রাক্তন এই ক্রিকেট খেলোয়াড়।

বরাবরই খোশমেজাজে খেলার পাত্র ছিলেন বীরেন্দ্র শাহবাগ। সব সময় হয়তো মনের মত রান পেতেন না তবুও তার উদ্যম এক চুলও দমতো না। মাঠে নেমেই ছক্কা হাঁকানো ছিল তার খেলার ওপেনিং স্টাইল। তবে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে যে ক্যাচ আউট হতেন না তা নয়। দুম করে আউট হয়ে গেলে মন খারাপ অল্প হত কিন্তু ড্রেসিং রুমে ফিরেই শুনতেন ভজন।
ব্যাট করতে নেমে নিজের মনেই গান গেয়ে যেতেন বীরেন্দ্র সহবাগ। একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন তিনি। এমনকি সৌরভ গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বাংলা ক্যুইজ রিয়েলিটি শোয়ের একটি বিশেষ পর্বে এসেও এ কথা জানিয়েছিলেন বীরু। নিজের পছন্দ মত যে গান মাথায় আসতো ব্যাট করতে করতে তাই গাইতেন তিনি। তবে বেশিরভাগ সময় কিশোর কুমারের গানই তিনি গাইতেন। কারণ কিশোরকুমার তাঁর বড্ড প্রিয় মানুষ।
কম রান পেলে সমালোচনায় যেমন বিদ্ধ হতেন বীরেন্দ্র তেমনই বেশি রান পেলে গান গেয়ে তা সেলিব্রেট করতেন। পরের পর ছক্কা হাঁকালে বীরেন্দ্র মাঠেই গাইতেন চিটিয়া কালাইয়া গানটি। তবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি গাইতেন কিশোরের চলা যাতা হুঁ, কিসিকি ধুন মে…, এটি তাঁর অন্যতম প্রিয় একটি গান। এমনও হয়েছে পাকিস্তানের একটি ক্রিকেট ম্যাচে যে বিপক্ষীয় টিমের খেলোয়াড় ম্যাচের মধ্যে গান শুনতে চেয়েছেন বীরেন্দ্র সহবাগ এর কাছে। তার আবদার কিন্তু ফেলে দেননি তিনি। সে দিন ব্যাট করতে করতেই গান শুনিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেই ক্রিকেটার কে।
একটি সাক্ষাৎকারে সহবাগ নিজে বলেছেন, “ব্যাঙ্গালুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি টেস্ট ম্যাচে তখন ১৫০ প্রাণের কাছাকাছি ব্যাট করছিলাম। বেশি রান হওয়াতে মনটাও ছিল ফুরফুরে। ঠিক তখনই পাকিস্তানের ইয়াসির হানিফ একটি কিশোর কুমারের গান গেয়ে শোনাতে বলেন। যা শুনে রীতিমত অবাক হয়েছিলাম। তবে আমি ওর অনুরোধ রেখেছিলাম, ব্যাটিং করতে করতেই গান গেয়ে আমি পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আনন্দ দিয়েছি, আর কি চাই!”